লিথিয়াম আয়ারন ফসফেটস (LiFePO4) ব্যাটারির জন্য BMS সিলেক্ট করার ব্যপারে অনেক সময় আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। শুধু একটি ব্র্যন্ডের ব্যাটারি পেলেই সন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা কি জানে একটি ব্যাটারির প্যাকের দীর্ঘস্থায়িতা ও পারফরমেন্স নিশ্চিত করতে BMS বা Battery Management System এর গুরুত্ব কতটুকু?
১) প্রথমত বিএমএস আপনার ব্যাটারি প্যাককে অতিরিক্ত চার্জিং ও ডিসচার্জিং থেকে রক্ষা করে। তাই precisely ভোল্টেজ detect করতে না পারলে এটি আপনার ব্যাটারি প্যাককে protect করতে পারবে না।
২) ব্যাটারি ম্যানুফাকচারিং এর সময় প্রতিটি ব্যাটারি সেলের ক্যাপাসিটি কখনও exactly same করা সম্ভব হয়না। কিছু পার্থক্য থাকবেই। যেহেতু ব্যাটারিপ্যাকে cell গুলো series আকারে সংযুক্ত থাকে, তাই চার্জিং এর সময় একটি battery cell গুলোর ভোল্টেজের তারতম্য দেখা যায় এবং একটি cell অন্যটির পূর্বেই চার্জ হয়ে যেতে পারে। তাই BMS এ built-in থাকে একটি balancer যা বাটারি প্যাকের cell গুলোর voltage balance রাখে।
৩) কিন্তু built-in balancer টি হলো একটি passive balancer এবং এর কারেন্ট রেটিং খুবই কম যেমন সর্বোচ্চ 100mA. তাছাড়া এটি শুধমাত্র energy burning এর দ্বারা balance করতে পারে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার অনুপযোগি। তাই সঠিকভাবে ব্যালেন্সের জন্য ব্যবহার করা উচিত কমপক্ষে 1A ক্ষমতাসম্পন্ন dedicated active balancer.
৪) BMS এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, যদি ব্যাটারি প্যাকের একটি cell ও ফুল চার্জ হয়ে যায়, চার্জিং প্রসেসটি বন্ধ হয়ে যায়। কেননা চার্জিং প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেখা যাবে একটি cell এর maximum voltage অতিক্রম করেছে কিন্তু অন্যদিকে অন্য আরেকটি cell সম্পূর্ণ চার্জই হয়নি। এর ফলে অতিরিক্ত চার্জ হওয়া cell টি damage হওয়ার আশংকা থাকে। Built-in passive ব্যালেন্সারটি যথেষ্ট দ্রুত কাজ করতে না পারাই এর জন্য দ্বায়ী।
অন্যদিকে BMS টি ব্যাটারি ফুলচার্জ হওয়ার আগেই যদি চার্জি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, এটি থেকে সর্বাধিক ব্যাকআপ বা পারফরমেন্স পাওয়াও সম্ভব নয়।
তাই ব্যাটারি প্যাকের সুরক্ষার জন্য BMS ও balancer এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Youtube এ আমাদের BMS সম্পর্কিত Video টি দেখতে পারেন।